চলতি অর্থ বছরের প্রথমার্ধের আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে আদানি পোর্টফোলিও। ভারতের অবকাঠামো উন্নয়নকে শক্তিশালীকরণে অসামান্য অবদান রাখা আদানি পোর্টফোলিও তাদের সব ব্যবসায়িক ফলাফলেই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট মুনাফা বা ইবিআইটিডিএ (আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্সেস, ডেপ্রিসিয়েশন অ্যান্ড অ্যামোর্টাইজেশন) ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৫৭ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত এটি প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ ইবিআইটিডিএ- এর অর্জনকে নির্দেশ করে।
আদানির এ ব্যবসায়িক আর্থিক প্রবাহ দেশটির টেকসই ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রবৃদ্ধি পোর্টফোলিওর ঐতিহাসিক পাঁচ বছরের ‘কম্পাউন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ রেট (সিএজিআর) অর্থ্যাৎ চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক বৃদ্ধির হার ২৬.৩ শতাংশকেও ছাড়িয়ে গেছে।
আর্থিক বিবরণীতে দেখা যায়, এ বছরের প্রথমার্ধের রাজস্বের পরিমাণ ইবিআইটিডিএ’র ক্ষেত্রে ২০২২ সালের পুরো বছরের রাজস্বের প্রবৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া, গত এক বছরের মোট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ২০১৯ সালের প্রায় ৩ গুণ হয়েছে।
আদানির যে সকল ব্যবসায়ের কারণে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলো হলো আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি এনার্জি সল্যুশন্স, আদানি পাওয়ার ও আদানি টোটাল গ্যাস। এছাড়া পরিবহন খাতে রয়েছে আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড। অন্যান্য অবকাঠামো খাতে রয়েছে গ্রিন হাইড্রোজেন সমন্বিত উৎপাদন, বিমানবন্দর ও রাস্তা-ঘাটের প্রকল্প যা আদানি এন্টারপ্রাইজ পরিচালনা করে।
এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে আদানির অবকাঠামো ব্যবসায়ের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য, যা ৫২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৩৩০ কোটিরও বেশি টাকায়। প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব প্রবৃদ্ধিতে গ্রিন হাইড্রোজেনের অবদান ১০ গুণ বেড়ে হয়েছে ২১২ শতাংশ। আর্থিক বিবরণীর প্রথমার্ধে বিমানবন্দর ব্যবসায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ শতাংশ। মূল রাজস্ব আয়ে যার অবদান ৪২ শতাংশ।
বার্ষিক হিসাবে, সিমেন্ট ব্যবসায়ে (আম্বুজা অ্যান্ড এসিসি) আদানি পোর্টফোলিওর রাজস্ব বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আদানি গ্রিনের নবায়নযোগ্য প্রকল্পে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। এটি প্রায় ১০ হাজার ৯৮৭ হাজার কোটি টাকা মুনাফার মাধ্যমে ১২ মাসের ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো একটি মাইলফলক অর্জন করেছে।
অন্যদিকে, ২০০ এমএমটি সমৃদ্ধ আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড বন্দর ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
আদানি গ্রুপের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) জুগেশিন্দর (রবি) সিং বলেন, “বিমানবন্দর, গ্রিন হাইড্রোজেন ও অন্যান্য ইনকিউবেটিং প্রকল্পের মাধ্যমে ইনকিউবেশনকে শক্তিশালী করে আমরা সাফল্যের গল্প রচনা করে চলেছি। এটি বর্তমানে পোর্টফোলিওর ইবিআইটিডিএ-তে প্রায় ৮ শতাংশ অবদান রাখছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আদানি পোর্টফোলিও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনন্য প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য রেকর্ড করেছে।”